|| অনলাইন প্রতিনিধি, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) ||
করোনাদুর্যোগে দেশজুড়েই চলছে স্বাস্থ্যবিধির খাড়া। বেশীরভাগ এলাকা লকডাউনে। চলছে না কোন যানবাহন। বন্ধ কল-কারখানা, অফিস-আদালত। এতে অন্য অনেক ব্যবসার মত দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুধের ব্যবসাতেও পড়েছে করোনার প্রভাব। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও পাবনার দুধ গোখামার এলাকায় দুধ বিক্রি করতে পারছে না খামারীরা।
শাহজাদপুর ও পাবনায় রয়ছে কয়েক হাজার গরুর খামার। এসব খামারের দুধে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরও চলে যায় দেশের নানা প্রান্তে। করোনার কারণে সারাদেশেই বন্ধ মিস্টির দোকান, তাই বন্ধ মিষ্টি তৈরির কারখানাগুলোও। দুধের দাম নেমে এসেছে ১০ টাকা লিটারে।
একেতো দাম নেই। তার পর যে পরিমাণ দুধ উৎপন্ন হয় তার বেশীর ভাগই থেকে যাচ্ছে অবিক্রিত। এই পরিস্থিতিতে খামারিরা পড়েছেন যার পর নাই অর্থসংকটে। যে অর্থেই চলে তাদের সংসার। সেইসঙ্গে কিনতে গরুর খাবারও।
অনেক এলাকাতে দুধ বিক্রি করতে না পারে প্রতিবাদে খামারিরা রাস্তায় দুধ ঢেলে দিচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে পথে বসতে হবে প্রান্তিক খামারিদের। এই মুহূর্তেই সরকারিভাবে কিছু একটা সমাধান চাইছে তারা। বলছেন, মিল্কভিটা, প্রাণ, আড়ংয়ের মত প্রতিষ্ঠান যারা কিনা স্বাভাবিক সময়ে তাদের দুধ কিনে থাকেন তারাও যদি দুধ কেনা চালু রাখতো তাহলেও তারা কোনভাবে বেঁচে যেতেন।#