|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী ||
শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার গোলাম আজম বাবুর বাড়ির ছাদের কার্নিশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশী কাটা বন্দুক উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার অলোকার মোড় এলাকার প্রতাপ সরকার (৪২) ও সাহেববাজার মাস্টারপাড়া এলকার শহিদুল হাসান রনি (৩৫)। এদের মধ্যে প্রতাপ ওই বাড়িতে অস্ত্র থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত মূলপরিকল্পনাকারী বোয়ালিয়া পাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে মাসুম (৪০) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, শনিবার রাতে উদ্ধার করা অস্ত্রটি ওই বাড়ির মালিককে ফাঁসাতে সেখানে রাখা হয়েছিল। এ পরিকল্পনার সঙ্গে তিনজন জড়িত। তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার আরএমপির মুখপত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাত ১০টার দিকে বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার জনৈক গোলাম আজম হোসেন বাবুর বাড়ির ছাদের কার্নিশের উপর থেকে বাজারের ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশী কাটা বন্দুক উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অস্ত্রটি লম্বা ২১ ইঞ্চি, ব্যারেল লম্বা ১৭ ইঞ্চি, খয়েরী রংয়ের বাট লম্বা ১৯ ইঞ্চি, ১২ বোর কার্তুজের ম্যাগাজিন সংযুক্ত, বোল্ড এ্যকশন, ফায়ারিং পিন ও ট্রিগার গার্ডযুক্ত।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে পুলিশকে খবর দেয় প্রতাপ সরকার। এ সময় তার দেয়া তথ্যে অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও ওই বাড়ির ছাদে বা আশপাশে অস্ত্র ব্যবসায়ী বা ক্রেতা উপস্থিতির প্রমান মেলেনি। বিষয়টি সন্দেহ হলে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের সন্ধান দেয়া সোর্স প্রতাপ সরকার ও শহিদুল হাসান রনিকে আটক করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পলাতক মাসুমের পরিকল্পনায় ওই বাড়ির কার্নিশে অস্ত্রটি রাখে বলে জানান।
জানা যায়, গোলাম আজম হোসেন বাবুর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাসুমের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বাবুকে ফাঁসাতে মাসুম প্রতাপ ও রনিকে নিয়ে এ পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রনির কাছে থাকা অস্ত্রটি মাসুম বাবুর বাড়ির ছাঁদের কার্নিশে রেখে আসে।