|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট ||
সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই এক্সক্যাভেটর ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি খননের মহোৎসব চলছে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীদের। এতে দিন দিন কমে আসছে আবাদি ফসলি জমি। মেসি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি সরবরাহের ফলে ঝুঁকিতে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জের অনেক রাস্তাঘাট।
মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জমির মাটি খননের কারণে আশপাশের জমি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। স্থানীয় প্রশাসন সময় মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন বেড়েই চলেছে এ অবৈধ মাটি খনন।
‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’-এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও কালাই উপজেলার উদয়পুরের নয়াপাড়া, মাত্রাইয়ের সোনারপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীরা মানছেন না। তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এক শ্রেণির পুকুর ও মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রলোভন দিচ্ছেন।
এ কারণে অধিকাংশ কৃষি জমিতে মেশিন দিয়ে ইচ্ছে মতো গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের চলছে এই মহোৎসব। স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতায় অবাধে চলছে এসব মাটি খনন। অবিলম্বে অবৈধ মাটি খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি কালাই উপজেলার উদয়পুর নয়াপাড়া গ্রামে মাটি খননকারী মিলন মিয়ার নিকট মাটি খননের বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খননের কোন অনুমতি নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে কেন আসছেন, কার সাইট চলে জানেন না? বলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, যারা এই কাজগুলো করছে তারা আইন ভঙ্গ করছে। কোন ক্রমেই তিন ফসলি জমিতে অনুমতি ছাড়া এবং জমির শ্রেনি পরিবর্তন না করে মাটি খনন করা যাবে না। আমরা বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি।