৮দিন ধরে বিপদসীমায় যমুনার পানি

|| অনলাইন প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||

সিরাজগঞ্জে গত দুইদিন ধরে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কিছুটা কমলেও টানা আটদিন বিপদসীমার ওপর  দিয়েই বইছে  যমুনা নদীর পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যমুনা নদীর অববাহিকার জেলা পাঁচটি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর,কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার  বানভাসি  পানিবন্দি দেড় লক্ষাধিক  মানুষ।

বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ,উঁচু স্হান ও স্কুল ঘরে আশ্রিত বানভাসি মানুষ এবং বন্যা কবলিত এলাকার বসসবাড়িতে থাকা পানিবন্দি মানুষদের শুকনো খাবার,বিশুদ্ধ পানি,পয়ঃনিস্কাশন সমস্য ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

পানি কমার সাথে সাথে নানা দুর্ভোগের মধ্যেও আরও ভাঙন আতঙ্কে  নির্ঘুম  রাত পোহাচ্ছ যমুনাপাড়ের মানুষেরা।

অন্যদিকে বন্যায়  যমুনা নদী তীরবর্তী  নিম্নাঞ্চল  ও চরাঞ্চলের কৃষকের পাট,তিল,আখ,বাদাম,ভুট্টা ও সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি আশংকা করছে কৃষকেরা। অনেকের  ফসলের  খেত পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকেরা।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তরের  অতিরিক্ত পরিচালক ( ডিডি)  মোঃ হাবিবুল  হক জানিয়েছেন জেলার বন্যা কবলিত  পাঁচটি উপজেলার  ১১ হাজার ১৭ হেক্টর  জমির পাট,তিল ও আখ পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে। 

গত ২৪ ঘন্টায়   যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে  ১৩ সেন্টিমিটার কমে রবিবার সকালে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর  দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্ট  ১১ সেন্টিমিটার  কমে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত  হচ্ছিল।

ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদী সমূহের পানি সমতল ধীরগতিতে হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন