|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||
সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি ফেরদৌস হাসানের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেলকুচি পৌরসভা মেয়র আশানূর বিশ্বাস।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রথম সাব জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২৪শে সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য্য করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিম হায়দার হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস যৌথভাবে বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ১ নম্বর বাদী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বার বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। অপর বাদী আশানুর বিশ্বাসও বারবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমানে পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিবাদী ফেরদৌস হাসান বাদী দম্পতিকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তার কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসার এলাকা জবরদখলমুক্ত করা প্রসঙ্গে ২৯ জুলাই বাদীদের লিখিত নোটিশ দেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়- বাদীরা তাদের জামাতার ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজাকে দিয়ে বেলকুচি পৌর এলাকার কেবল নেটওয়ার্ক লাইন জবর দখল করে প্রায় ১ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে মাসিক দেড় লাখ টাকা করে ৭০ মাসে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা আদায় করেছেন। ওই টাকা ফেরতের জন্য এবং ব্যবসায়ী এলাকা দখলমুক্ত করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাদীগণকে নোটিশ দেওয়া হয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে বাদীদের সঙ্গে সাজ্জাদুল হক রেজার কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিষয়টি জানার পরও বাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়ায় সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বাদীরা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব এবং পাল্টা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও বিবাদী ফেরদৌস হাসান জবাব না দেওয়ায় তার বির“দ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে সাংবাদিক ফেরদৌস হাসান বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক প্যাডে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাসকে একটি চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি জনসমক্ষে উত্থাপিত হয়নি। এতে তাদের মানহানি কীভাবে হলো আমার বোধগম্য নয়।