|| অনলাইন প্রতিনিধি, (সিরাজগঞ্জ) ||
মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষিদ্ধ ওষুধ,মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন ওষুধ ,অনুমোদন নেই এমন চেতনানাশক ওষুধ, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা এবং বেশী দামে ওষুধ বিক্রির মত অনৈতিক কাজ করায় দুই লাখ বাইশ হাজার টাকা জরিমানা গুণলেন সিরাজগঞ্জের আট ওষুধ ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার ৭ই মে দুপুরে জেলা প্রশাসন সিরাজগঞ্জের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে জেলার সদরের বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ছিলেন ওষুধ তত্বাবধায়ক মো. শেখ আহ্সান উল্লাহ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ এবং লেফটেন্যান্ট এম এম এইচ ইমরান। র্যাব ১২ এই অভিযানে নিরাপত্তা সহায়তা দেয়।
অভিযানে ৫১৭ পিস ট্যাপেন্ডাডল যা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীরা ব্যবহার করে, ২২৩৫ ধরণের বিক্রি নিষিদ্ধ প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার ৮৯২ পিস ট্যাবলেট ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১০৪৩ ধরণের ওষুধ জব্দ করা হয়।
এমনসব অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় ওষুধ আইনে দি মেডিসিন সেন্টারকে ১৫ হাজার, খন্দকার ড্রাগসকে ৫ হাজার, মের্সাস আল মদিনা মেডিক্যাল স্টোরকে ৭০ হাজার, পাল এন্ড সন্স মেডিকেলকে ৫০ হাজার, শাহেদ মেডিকেল হলকে ২০ হাজার, এবং এরশাদ মেডিকেল হলকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২লাখ ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় জান্নাতী মেডিকেল স্টোরকে ২ হাজার এবং সোহেল ড্রাগসকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে জব্দ করা সব ওষুধ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।