যমুনা থেকে যথেচ্ছ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ এনায়েতপুরে

জেলার এনায়েতপুরে ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে যথেচ্ছ বালু উত্তোলনবাণিজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। এরআগে অবৈধ এই বালু উত্তোলনবাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বালু দস্যুরা। এই মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তা তুলে নেওয়া ও বালু উত্তোলন বন্ধ দাবিতে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

|| সারাবেলা প্রতিিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||

জেলার এনায়েতপুরে ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে যথেচ্ছ বালু উত্তোলনবাণিজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। এরআগে অবৈধ এই বালু উত্তোলনবাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বালু দস্যুরা। এই মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তা তুলে নেওয়া ও বালু উত্তোলন বন্ধ দাবিতে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

এতে বালু উত্তোলনে ক্ষতিতে পড়া এনায়েতপুরের ৫ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে অবৈধ এই বাণিজ্যকে লুটপাট আখ্যায়িত করে দ্রুত এটি বন্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার দাবি করা হয়। অন্যথায় সর্বস্তরের এলাকাবাসী জেলা প্রশাসনের কার্যলয় ঘেরাওয়ের মত কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবে বলেও জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারসংশ্লিষ্টদের নাম ব্যবহার করে করোনা কালেও ইউপি সদস্য লাল মিয়া মেম্বারের নেতৃত্বে বালু লুট চলছেই। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করায় হত্যার হুমকি সহ ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলাও করছে লাল মিয়া মেম্বারের লোকজন।

থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি ফজলুল হক ডনুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, এবিএম শামীম হক, খুকনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আফাজ উদ্দিন ব্যাপারী, ইউপি সদস্য সোহরাব আলী, ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম মোন্নাফ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন ব্যাপারী, মিজানুর রহমান কহি, মহির উদ্দিন, অংশ নেন।

তারা যমুনা নদী থেকে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, টানা ১০ বছর ধরে এনায়েতপুর থানার যমুনার নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রভাবশালী একটি চক্র কোটি-কোটি টাকার অবৈধ বালু উত্তোলনবাণিজ্য করে আসছে। যথেচ্ছ বালু তোলায় বানগ্রাম, আড়কান্দি, জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকড়তলাসহ আশপাশের এলাকার অন্তত ৪ হাজার ঘর-বাড়ি ও হাজার বিঘা আবাদী জমি নদীতে চলে গেছে। তার পরও থেমে নেই বালু উত্তোলন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন