|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||
সিরাজগঞ্জের প্রায় দুই লাখ মানুষ গেল ২২ দিন ধরে বানদুর্ভোগে দিশেহারা। জেলার পাঁচটি উপজেলার এসব মানুষের ফসলি জমি, থাকার ঘর, সবই এখন পানির নিচে। এদের অনেকেই সন্তানসন্ততি, সহায়সম্বল আর গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নদীতীরের বাঁধসহ এলাকার কিছুটা উঁচু জায়গায়।
করোনার এই দুর্যোগের মধ্যে নানানো পানিবাহিত অসুখবিসুখ আর বন্যার আর্থিক অভিঘাত তাদেরকে দিশেহারা করে তুলেছে। এরইমধ্যে গেল কয়েকদিন ধরে আবারও বাড়ছে নদীর পানি। পানি উন্নয়নবোর্ড বলছে, ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের সব নদনদীর পানিই বাড়ছে।
গেল চারদিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে দ্বিতীয় দফায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার সকালে নদীর সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীতে আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত পানি বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে পানি বাড়তে থাকায় অবনতি হয়েছে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নি:স্ব হচ্ছে দুর্গত মানুষ। গেল ২২ দিন ধরে জেলার যমুনা নদী অববাহিকার বন্যাদুর্গত কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের প্রায় দুই লাখ ভানবাসি মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।