|| অনলাইন প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ||
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে পুলিশের ধাওয়ায় যমুনা নদীতে ডুবে এক জুয়ারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত এন্তাজ আলী (৪২) পাশ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার ভারদিঘুলিয়া গ্রামের দুগন মিয়ার ছেলে। তার লাশ যমুনার হাটঘোরজান এলাকা থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে। এদিকে অভিযান চলাকালে পুলিশের হাতে আটক জুয়ারী ইউপি সদস্য রাব্বি মিয়া সহ ৩ জনকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চৌহালী উপজেলার হাট ঘোরজান সোলার পাওয়ার প্যানেলের পাশে একটি ভিটায় আব্দুস সালাম ব্যাপারী দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ধরে পুলিশকে ম্যানেজ করে লাখ-লাখ টাকার জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিল। হঠাৎ থানার সাথে দেন দরবারে জটিলটা দেখা দেয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেলে এসআই মাসুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ারী এন্তাজ আলী সহ সবাই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাব্বি মিয়া, জুয়ারী আবু সিদ্দিক ও আমির হোসেনকে আটক করে। তখন বাকিদের পুলিশ ধাওয়া করলে এন্তাজ যমুনায় ঝাপ দিয়ে সাঁতরীয়ে মাঝ চরে উঠার চেষ্টা করে। পুলিশও নৌকা নিয়ে তাকে ধাওয়া করলে ভয়ে তলিয়ে যায়।
তখন অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ টাকার বিনিময়ে আটক ইউপি সদস্য সহ ৩ জুয়ারীকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত নৌকা নিয়ে চলে যায়।
পরে রাতে হাট ঘোরজান এলাকায় যমুনা নদীতে এন্তাজ আলীর লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এরপর নিজ বাড়িতে স্বজনেরা নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনা পুরো চৌহালী তথা যমুনার চরাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ করে জানান, পুলিশের অদক্ষতার কারনেই এই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ বছর আগেও এই জুয়া খেলা নিয়ে সংঘর্ষে জুয়া চালানোর মুল হোতা সালাম ব্যাপারীর ছোট ভাই আলো ব্যাপারী মারা গেছেন। তার পরও এই জুয়া কেন বন্ধ হচ্ছেনা। আমরা তদন্ত পুর্বক দায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।
এ বিষয়ে চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কেউ দায়ী হলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান,
সসা/স্বপন/এসএম