|| অনলাইন প্রতিনিধি, ধামইরহাট (নওগাঁ) ||
অস্থায়ী বাজারেও মানানো যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। করোনাঝুঁকির মধ্যেই মানুষজন আসছে হাটবাজারে। নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় সপ্তাহে প্রতি রোববার বসছে হাট। এখানে স্বাভাবিক সময়ের মতই আসছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসন উপজেলা লকডাউন করে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিলেও গেল তিন সপ্তাহ ধরে অস্থায়ী এই হাটে চলছে দেদার বেচাকেনা। এছাড়াও উপজেলার আমইতারা, ফারসি পাড়া, হরিতকী ডাঙ্গা, মঙ্গলবাড়ী এবং ফতেপুর বাজারেও প্রতি সপ্তাহে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নাকের ডগায় বসছে বাজার।
স্থানীয় সচেতন মানুষদের অভিযোগ, প্রশাসন দায়সারা গোছের প্রচার-প্রচারণার কারণেই করোনাঝুঁকির মধ্যেই এমন লোকসমাবেশ বেড়েই চলছে। যা শঙ্কিত করছে মানুষকে।
স্থানীয় যুবক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরে খাবার না থাকলে কোনো সচেতনতাই কাজে আসবেনা। সচেতন থাকার সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যাদের দ্বায়িত্ব তারা তাদের দ্বায়িত্ব নিয়ে কতটা সচেতন এটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। খেটে খাওয়া মানুষের ঘরের খাবার আমরা কি ঠিকঠাক দিতে পারছি। নিন্ম মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে কি যে হবে তা আল্লাহই জানেন।’
এদিকে হাতে গোনা কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ ঘরের বাইরে আসছেন না। তবে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি এলেও জনপ্রতিনিধিদের সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকায় একরকম অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ধামইরহাট উপজেলা।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি সকাল থেকে চেষ্টা করছি হাট-বাজারটি যেন না বসে। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাট-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শুক্রবার আমইতারার হাটটি কলেজমাঠে সীমিত আকারে শুধু সবজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া যায় কিনা সে নিয়ে আলোচনা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় বলেন, ‘হাট বন্ধ ঘোষণা দেবার পরেও গ্রামের সাধারণ মানুষ এসে হাট-বাজার করছেন। সাধারণ মানুষের কথাভেবে আমরা বিকল্প কিছু ভাবছি যেমন ভ্রাম্যমান সবজি দোকানের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবজি বিক্রি করা যায় কিনা।
ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, বিচ্ছিন্ন ভাবে জনসমাগম ঘটিয়ে হাট-বাজার যেন না লাগে সেজন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা পেলে নিরাপদ স্থানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই নিত্যপণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়া যায় কিনা সেটি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#