|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী ||
রাজশাহীর তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপজেলার কামারগাঁ সরকারি খাদ্য গুদামের আলোচিত ৬০ মেট্টিক টন ধান আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, তানোর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা আলাওয়াল কবির, কামারগাঁ খাদ্যগুদামের উপ-খাদ্য পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার, সহকারী উপ খাদ্য-পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও খাদ্যগুদামের নিরাপত্তাকর্মী কুরবান আলী।
গত ১৫ই সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কামিয়াব আবতাহি উন নবী এই মামলা করেন। রাজশাহী জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের ১২০৩/১(৪) নম্বর স্বাক্ষরিত বার্তায় এ মামলার বিষয়ে বিভিন্ন দফতরকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫শে মার্চ কামারগাঁ খাদ্যগুদামের (ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার গুদামে মজুদ ধানের মধ্যে ৬০ মেট্রিক টন ধান অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেসময়ের রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের নির্দেশে, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুল হক ও জেলা কারিগরি খাদ্যপরিদর্শক সিহাবুল ইসলাম কামারগাঁ খাদ্যগুদামে গিয়ে ধান নয়ছয়ের প্রমাণ পান।
এসময় জেলা খাদ্য কর্তকর্তা বাদি হয়ে তানোর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক, খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডিসহ ৪জনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তানোর থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।
দুদুকের করা মামলা সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরে অনিয়ম দুর্নীতি করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ওএলএসডিসহ ৪জন পরস্পর যোগসাজসে কামারগাঁ খাদ্যগুদামের সরকারী ৬০ মেট্টিক টন ধান, (যার সরকারি মূল্য ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা) ও খালি বস্তা ৩ হাজার ৩শ’ ৪৬টি, (যার সরকারি মূল্য ২লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা) মোট ১৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রাজশাহী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধান ও খালি বস্তা নয়ছয়ের অভিযোগে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কামারগাঁ খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডিসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অধিকতর তদন্ত চলছে, তা শেষ হলে অভিযুক্তদের বিচারের সম্মুখিন করা হবে।