জয়পুরহাটে বাহারী রঙ্গে সাজিয়ে মাছের মেলা

জয়পুরহাটে কালাইয়ে জামাইদের মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবারে দিনব্যাপি উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে মাছের দোকানগুলো বাহারী রঙ্গে সাজিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ এলাকায় যারা বিয়ে করেছেন, সে জামাইদের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর পহেলা অগ্রহায়ণ মাসের মঙ্গলবারে এ জামাই মেলা আনন্দ-উৎসব হয়ে থাকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট ||

জয়পুরহাটে কালাইয়ে জামাইদের মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবারে দিনব্যাপি উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে মাছের দোকানগুলো বাহারী রঙ্গে সাজিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ এলাকায় যারা বিয়ে করেছেন, সে জামাইদের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর পহেলা অগ্রহায়ণ মাসের মঙ্গলবারে এ জামাই মেলা আনন্দ-উৎসব হয়ে থাকে।

ঐতিহ্যবাহী জামাই মাছের মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা আনন্দ-উৎসব করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ীতে নিয়ে যায়। এ মেলার জামাইরাই হচ্ছেন মূল ক্রেতা ও দর্শনার্থী। বছরের এ দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকে উপজেলাবাসী। তেমনিও এবারও জমে ওঠেছে এ জামাই মেলার উৎসব।

এ বছর মেলাতে বোয়াল, রুই, মৃগেল, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস, ব্রিগেট, বাঘা আইরসহ বিভিন্ন প্রজাতির সর্বোচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের মাছের মেলায় উঠেছে। জামাইরা পছন্দমত আনন্দ-উৎসব করে চাহিদা অনুসারে মাছ কিনছেন তারা। প্রায় শত বছর থেকে চলে আসা এ মেলায় আশেপাশের নদী, দিঘী ও পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির টাটকা মাছ সরবরাহ করা হয়।

মেলার মাছ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফসহ অনেকেই বলেন, প্রতি বছরের মত এই জামাইদের মাছ মেলা উপলক্ষে আমাদের এলাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসি। এলাকার জামাইসহ অন্যান্যরাও এ মাস কিনে থাকে। এবারে বড় আকারের কাতলা, রুই, মৃগেল ৭শ থেকে ৮শ টাকা কেজিতে এবং বাঘা আইর, বোয়াল ও চিতল মাছ ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য মাছ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেলায় মাছ কিনতে আসা শ্রী মুনীশ, বুলু মিয়া, আঃ জলিল বলেন, অন্য বছরের চাইতে এবার মাছের দাম একটু বেশী। মেয়ে-জামায়ের জন্য কাতলা, ব্রিগেট ও রুই মাছ কেনা হয়েছে। অন্যদিকে, মোকলেছ, শাহজাহান, মামুনুর রশীদসহ কয়েকজন জামাই বলেন, বছরের এ দিনটিতে শ্বশুরবাড়ীতে বড় মাছ কিনে নিয়ে যাই ও সবাইকে নিয়ে আনন্দ-উৎসব করি।

কালাই উপজেলা চেয়াম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, প্রতি বছরে জামাইদের এ মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে জামাইরা আসে, মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ীতে নিয়ে যায়। এ মেলাটি বাৎসরিক উৎসবের পরিনত হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন