কামারখন্দে সময় শেষ হলেও নির্মান হয়নি সেতু, দুর্ভোগ চরমে

||অনলাইন প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ||
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি সেতু নির্মানের কার্যকাল অতিবাহিত হলেও কাজ শেষ হয়নি। এ কারনে অতীতের ধারাবাহিক দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে এলাকাবাসীর। এজন্য ঠিকাদারের কাজে গাফলতিকে দায়ী করেছে স্থানীয়রা।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার প্রচেষ্টায় গত বছর সিরাজগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে পাইকোশা বাজারের পাশে খালের উপর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সেতু নির্মাণে বরাদ্দ হয়। ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৭০ টাকা। রফিকুল ইসলাম খানের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এ পর্যন্ত সেতুটির একটি অংশের কাজ হয়েছে। 

সেতুটির নির্মাণ কাজ গত বছরের ১ মে থেকে শুরু হলেও কার্যকাল চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলে শেষ হয়নি। এ অবস্থায় মানুষের যাত্রা পথে বেড়েছে আরো দুর্ভোগ। বিশেষ করে রোগী পরিবহন ও স্কুল কলেজে যাতায়াত কারীরা পড়েছে বেশি বিপাকে। বাজারের ব্যবসায়ীদেরও সমস্যার অন্তঃ নেই।

পাইকশা বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমার পিতার নিজস্ব সম্পত্তির উপর দোকান ঘর সহ ১০-১২টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। কয়েক মাস হলো ব্যবসা বন্ধ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের কোন সহায়তা করেননি। 
সিএনজি চালক মনিরুল ইসলাম মনি জানান, যাত্রী নিয়ে চলাচলের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত ব্রীজ নির্মানের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।ভ্যান চালক আব্দুর রাজ্জাক, শুকুর আলী জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকার সর্বস্থরের মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় ঝুকি নিয়ে পানির মধ্যেই পারাপার হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি আমিরুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এস.এম সানজীদ আহমেদ বলেন, জায়গা সমস্যার কারণে কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রীজের কাজ শেষ হয়নি। কাজের সময় বাড়ানোর জন্য এলজিইডি অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম.শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন, ব্রীজ নির্মানের কারণে দোকান ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চলাচলের সমস্যার কথা শুনেছি। বর্তমানে জনসাধারণের চলাচলের জন্য পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি।

সসা/স্বপন/এসএম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন