|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা) ||
ঈশ্বরদীতে সিএনজি চালক মিজানুর রহমান সুজন (৩৫) হত্যার আসামী অটোরিকশা চালক কাসেমকে হত্যাকান্ড সংঘঠিত হওযার ৬ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, বড়ইচারা এলাকায় মামার বাড়ি হতে আসামী কাসেমকে রাত সোয়া নয়টার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া গোলচত্তর এলাকায় যাত্রী উঠানো নিয়ে গোলযোগের ঘটনায় সিএনজি চালক মিজানুর রহমান সুজন (৩৫) নিহত হয়। অটোরিকশা চালক কাসেমের (৬০) বিরুদ্ধে পিটিয়ে পিঠিয়ে এই হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। নিহত মিজানুর রহমান সুজন শেখ পাড়া মৃধাপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলচত্বরে অটোরিকশায় যাত্রী উঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক সুজনের সাথে অটোরিকশা চালক কাশেমের কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় বড় লোহার তালা দিয়ে সুজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মিজানুর রহমানকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎষক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অটো রিকশাচালক কাশেমের (৬০) বাড়ি দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দর্গাপাড়া-মুচিপাড়া গ্রামে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দীন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুজনের মরদেহ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ এবং দাশুড়িয়া গোলচত্তর পরিদর্শন করে অভিযানে নামেন। নিহত সুজনের পরিবারের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।