খাস জমিতে খাল খননে হুমকির মুখে বন ও গ্রামবাসী

|| অনলাইন প্রতিনিধি, ধামইরহাট (নওগাঁ) ||

নওগাঁর ধামইরহাটে নদী তীরের চকনোটি মৌজার ছিলিমপুর গ্রামের পাশেই আত্রাই নদী। বিভিন্ন দুর্যোগ আর বান বন্যায় নদী ভাঙ্গনে নদীতে চলে গেছে অনেক পতিত জমি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সৃষ্ট বন্যায় এলাকার রাঙ্গামাটি, ছিলিমপুর, নন্দনপুর, বস্তাবরসহ নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।

রবিশষ্য চাষের কথা বলে নদী তীরের এসব খাস জমি পত্তন নেন স্থানীয় উদয়শ্রী বেড়ীতলা গ্রামের জামাল উদ্দিন। তিনি ওই জমিতে চাষাবাদের বদলে বালু তুলতে শুরু করেছেন। এতে করে হুমকিতে পড়েছে সরকারী খাস জমিতে আগে থেকে বনবিভাগের লাগানো গাছ গাছালি ও ফসল।

এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি ঘটনাস্থলে আসতে অস্বীকার করে বলেন, ‘জমিটি আমার বাপের আপনারা ছবি তুলে কী করবেন করেন । তাতে আমার কোন সমস্যা নাই।

এসব পতিত জমি থেকে মাটি-বালি তুলে বিক্রি করছেন একই কায়দায় ছিলিমপুর গ্রামের মানিক হোসেনও। স্থানীয়দের অভিযোগ, এমন করে জমি থেকে মাটি ও বালু তুলে নেওয়া হলে ক্ষতিতে পড়বে এলাকার শত শত ঘরবাড়ী। আর ফসল ফলাতেও অযোগ্য হয়ে পড়বে এসব জমি।

তারা এও জানান, এভাবে বালি-মাটি উত্তোলন করতে থাকলে আসছে বর্ষায় নদীর স্রোতের পানি চাষের জমিতে ঢুকে পড়বে। ক্ষতিতে পড়েবে ফসলের।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পতিত ওইসব জমিতে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে উপকারভোগীরা তা পরিচর্যা ও
দেখভাল করে। কিন্তু যেভাবে সেখানে গভীর গর্ত করে মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে তাতে মারাত্বক ক্ষতিতে পড়বে রোপিত বন ও এলাকার সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বলেন আব্দুল মান্নান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, আমি সেখানে তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। বনবিভাগ বা সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি হলে অবশ্যই আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন