শিশুকন্যাকে হত্যায় সৎমা কারাগারে

||অনলাইন প্রতিনিধি||

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগে সৎমা রিনা আক্তার আটক হয়েছে। শুক্রবার  রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের নিজবাড়ি  থেকে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। শনিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১০ জুন রাত ৮টার দিকে মাজালিয়া  গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কনা আক্তারকে (৪) ঘরের পাশে একটি ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার সৎমা রিনা আক্তার শিশুটি পানিতে পড়ে নিহত হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করে।

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সৎমাকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শিশুটির বাবা আবুল কালামের মৌখিক  অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সৎমাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ । পরে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম জানান, শিশু কন্যা আক্তার পানিতে পড়ে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা রিনা আক্তার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৎমা শিশুটিকে টিউবয়েলপাড়ে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যার করে। তারপর তার মৃতদেহ পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদি হয়ে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতকে শনিবার দুপুওে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

নিহত শিশুর বাবা আবুল কালাম জানান, দুই বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী সালমা বেগম শারীরিক অসুস্থ্যতায় মারা যান। তারপর তিনি মাজালিয়া গ্রামের ঈমান আলীর মেয়ে রিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার গর্ভে কোনো সন্তন না হওয়ায় সে প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে সহ্য করতে পারতো না। এ আক্রোশে সে তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন