|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভালুকা(ময়মনসিংহ) ||
ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কিশোরী গার্মেন্ট কর্মীকে যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার ভিকটিমের বড়বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ বাসচালক ও চালকের ২ সহকারীকে আটক করেছে। এছাড়া বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডস্টোর বাজার থেকে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ফুসলিয়ে কিশোরী মিল শ্রমিক ওই মেয়েকে ময়মনসিংহগামী মায়ের দোয়া পরিবহণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে তোলে চালক ও সহকারীরা। রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের জনৈক কুদ্দুসের গ্যারেজের পাশে বাসটি থামিয়ে রাখে। সেখানে বাসের ভিতরে চালক মামুন (৩০) ও তার সহকারী রহিম (২৫) ও আশরাফুল (২২) সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পর দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় বাসচালক রহিম মিয়া ওই কিশোরীকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় লবণকোটা ভাড়া বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে ওই ভিকটিমের বড়বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার হাছান আলীর ছেলে মামুন, ওই উপজেলার বালুকজান গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুর রহিম ও ময়মনসিংহের চূড়খাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আশরাফুল আলম। মঙ্গলবার সকালে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, কিশোরী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। এ ঘটনায় আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। ২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।