ভালুকায় বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারেক আহমেদ (২০)এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তারেক আহমেদ একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভালুকা ||

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারেক আহমেদ (২০)এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তারেক আহমেদ একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ আগস্ট তারেক ওই কলেজ ছাত্রীকে কোর্ট ম্যারিজ করে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী সখিপুর থানায়। পরে সেখানে একটি গেস্ট হাউজে উঠে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটানা তিনদিন তিন রাত তার সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করে।

কলেজ ছাত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার সময় ৯০ হাজার টাকা সাথে নিয়েছিলো তা কৌশলে আত্মসাৎ করে তাকে গেষ্ট হাউজে রেখে পালিয়ে চলে যায় তারেক ।

এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী ২ সেপ্টেম্বর ভালুকা মডেল থানায় তারেকসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন কাচিনা ইউনিয়নের সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আল-আমিন, তাতীলীগ সাধারন সম্পাদক বিপ্লব (২১) ও মামুন (২১)। এ ঘটনার পর থেকে তারেকসহ তার সহযোগী ৩ জন বন্ধু পলাতক।

ধর্ষনের স্বীকার ওই কলেজ ছাত্রী জানান, “তারেক আমাকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি পালিয়ে যাবার সময় বাড়ি থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যাই। একটানা তিন দিন গেষ্টহাউজে রেখে ধর্ষন করে গোপনে আমার ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এখন তারেক যদি আমাকে বিয়ে না করে তবে এ সমাজে আমি ধর্ষিতা হয়ে বেঁচে থাকাতে চাই না। আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না। আমি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সবার কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন