||অনলাইন প্রতিনিধি, ভালুকা(ময়মনসিংহ) ||
ময়মনসিংহের ভালুকায় খিরু নদী থেকে হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর তার পরিচয় মিলেছে।
১৮ জুন বৃহস্পতিবার ভোররাতে হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মনির হোসেন (২৩) ও জামাল হোসেন (২৫) নামে দুই যুবককে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীর পরিচয় ও হত্যা ঘটনা উম্মোচিত হয়। নিহতের নাম কানিজ ফাতেমা (১৭), পিতা ওমর ফারুক, বাড়ি উপজেলার মামারিশপুর গ্রামে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকায হয়েছিলো বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীতে জানায়, উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে কানিজ ফাতেমা গত ৩ জুন রাত ৮ টার সময় ভালুকা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রেফতারকৃত উপজেলার কাঠালী গ্রামের জহির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন ও আইয়ূব আলী শেকের ছেলে জামাল হোসেন বিভিন্ন প্রলোভর দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড খীরু নদী সংলগ্ন আজিজুল হকের বিভিন্ন প্রজাতীয় গাছের বাগানে নিয়ে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ফাতেমা ডাক চিৎকার শুরু করলে আসামীরা প্যান্টের ব্যাল্ট দিয়ে ফাতেমার গলায় ফাঁস দিয়ে স্বাসরোধে তাকে হত্যা করে এবং হাত পা বেঁধে খিরু নদীতে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রোববার বিকেলে উপজেলার কাঠালী গ্রামের কালেঙ্গারপাড় এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত অজ্ঞাত নারীর লাশটি উদ্ধার করে। পরে মডেল থানার এসআই আবু তালেব বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা (নম্বর-১৯) দায়ের করেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত দুই যুবককে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্ধষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে। অঅসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।