নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা ময়দানে ঈদের জামাত

|| অনলাইন প্রতিনিধি, জামালপুর ||

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১০টি গ্রামে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। করোনাভাইরাসের কারনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিন্ন মুসলিম মতাবলম্বী শতাধিক মানুষ খোলা মাঠে জামাতে ঈদের নামাজ পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরিষাবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের আজিম উদ্দিন মাস্টারের বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের নিয়মের একদিন আগে ঈদের নামাজ পড়া হয়।

মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টারের ইমামতিতে রোববার সকাল ৭টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০টি গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

আজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে হারুনুর রশিদ জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, হাটবাড়ি, সাতপোয়া, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, চর সরিষাবাড়ী ও পুঠিয়ারপাড় গ্রামের কিছু কিছু পরিবার মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে প্রায় ১৫ বছর ধরে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছি।

ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে চন্দ্র উদয়ের পুরো একদিন পর এদেশে ঈদ পালন করা হয়। আমাদের মতে তা শরীয়তসম্মত না, বিধায় আমরা একদিন আগে রমযান মাসের রোজা শুরু ও ঈদ উদযাপন করি।

এদিকে ঈদের জামাত শেষে ঘটনাস্থলে পুলিশ  উপস্থিত হয়। করোনাভাইরাসের মধ্যে খোলা মাঠে জমায়েত করে জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে খোলা মাঠে জমায়েত করে ঈদের জামাত না পড়তে কয়েকদিন ধরে মাইকিং চলছে। কিন্তু আইন অমান্য করে কিছু অতি উৎসাহী লোক বাংলাদেশের নিয়মের একদিন আগেই জামাত ঈদের নামাজ পড়েছে। তিনি বলেন,আইন অমান্য করায় ওই মতাবলম্বী নেতৃবৃন্দের ডেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

সসা/এসএইচ/এসএম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন