||অনলাইন প্রতিনিধি, জামালপুর ||
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি না পেলেও ব্রম্মপুত্র নদসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে জেলার ছয়টি উপজেলার ১৮৫টি গ্রামের ৩ লক্ষ ৮ হাজার জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার বিকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ অব্যাহত থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যা কবলিতদের। দূর্ভোগে পড়া বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রান সামগ্রী বিতরন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা মো.নায়েব আলী জানান, পুরো জেলার ৪২ টি ইউনিয়নের ৪ শতাধিক গ্রামের ৩লাখ ৮হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। বানভাসীদের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব ত্রান পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান- যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ব্রম্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশঙ্কা ভারতে যদি বন্যা হয় তবে বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হবে।
অপরদিকে বুধবার দুপুরে জেলার ইসলামপুরের হাড়িয়াবাড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে আলআমিন (৭) ও আলফিনা(৬) নামে দুই ভাইবোন নিখোঁজ হওয়ার ৪ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আলআমিন ও আলফিনা পাথর্শী ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িয়াবাড়ি এলাকার মো: আনোয়ার হোসেনের সন্তান। এছাড়া বুধবার সকালে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোষেরপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে শর্মিলা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এনিয়ে জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ৫ শিশু ও ১ যুবকের মৃত্যু হলো।