|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালপুর ||
টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনা নদীর পানি। তবে আরো দুইদিন যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দীর্ঘদিন বন্যা কবলিত থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বানভাসীদের জনজীবন। তবে বানভাসীদের দূর্ভোগ কমাতে ত্রান বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে- শুক্রবার বেলা ৩টায় জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
শুক্রবার সকালে জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়- আবারো যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনো উচু সড়ক ও ব্রীজ কালভার্টে আশ্রয় নিয়েছে বান ভাসীরা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়- অনেক দিন যাবত বন্যার পানিতে বাড়ি ঘর তলিয়ে থাকায় ব্রীজ কালভার্টে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের। জায়গার সংকট থাকায় গবাদি পশু নিয়ে একসাথেই থাকতে হচ্ছে তাদের। এতে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে তারা।
চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম বামনা এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়- দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে আটকে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাদের জনজীবন। কোনো কাজ না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া অর্থাভাবে রয়েছে তারা। সরকারি ত্রান পেলেও পরিমানে কম থাকায় তেমন একটা কাজে আসছে তাদের। তাই তিনি ত্রানের পরিমান বৃদ্ধিও দাবি জানান।
একই এলাকার বাসিন্দা সুজন মিয়া জানান- বন্যার পানি কমছে আর বাড়ছে। এভাবে যমুনার পানি কমা বাড়ার খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তারা। তিনি আরো বলেন পানি এভাবে আর কিছুদিন থাকলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হবে তাদের।
ত্রানের বিষয়ে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: নায়েব আলী জানান, বানভাসীদের দূর্ভোগ কমাতে ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে ত্রানের পরিমান আরো বৃদ্ধিকরা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা পানি বাড়তে থাকলেও পানি বৃদ্ধিও হার কিছুটা কম। এভাবে আরো দুই দিন পানি বাড়বে এবং দুই দিন পর পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন তিনি।