ভালুকায় মাল্টা ও লেবু চাষে বিপ্লব

|| সারাবেলা প্রতিনিধি ,ভালুকা (ময়মনসিংহ) ||

ময়মনসিংহের ভালুকায় মাল্টা ও লেবু চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম শামীম ও তার বন্ধুরা ।

পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম শামীম । ঢাকায় নিজের কাজের পাশাপাশি কয়েক বন্ধুদের নিয়ে নিজ গ্রাম ভালুকা উপজেলার কাদিগড়ে ২০১৮ সালে ৮ একর জমিতে মাল্টা ও লেবু চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তাদের ১৫ একর জমিতে ‘প্রয়াস এগ্রো’,’ বারাকাহ এগ্রো’  ও ‘মেম্বার এগ্রো অ্যান্ড নার্সারী’নামে ৩টি মাল্টা ও লেবুর বাগান রয়েছে। ৮ একর জমিতে বারি -১ জাতের মাল্টা ও ৭ একর জমিতে সিডলেস জাতের লেবু চাষ করছেন।

শামীম জানান, ২০১৯ সালে ১৭০০ টি মাল্টা গাছ থেকে ২.৫ টন, ২০২০ সালে ২৫৫০টি মাল্টা গাছে থেকে ১৮-২০ টন মাল্টা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে ৫৫০০ টি গাছের লেবু বিক্রি করেছেন ১০-১২ লাখ টাকা। ২০২০ সালে এ পর্যন্ত তারা ৯ হাজারটি গাছ থেকে ১৫-১৭ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছেন। মাল্টা ও লেবু চাষের পাশাপাশি মাল্টা ও লেবুর চারা বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করছেন। মাল্টা সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় বাজার ও ঢাকায় বিক্রি করা হয় এছাড়া সিডলেস লেবু সারা বছর বিক্রি হয়। গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা সিডলেস লেবু ও বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টা ও লেবুর বাগানে সাথি ফসল হিসাবে বিভিন্ন সবজি চাষ করেও তারা অনেক টাকা আয় করেছেন ।

চারদিকে সবুজের সমারোহ। পাশেই রয়েছে কাদিগড় জাতীয় উদ্যান। এ গ্রামটি যেন অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। এ অঞ্চলের মাটি মাল্টা ও লেবু চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ইঞ্জিনিয়ার শামীম ও তার বন্ধুদের বাগান দেখে অনেকেই মাল্টা ও লেবু চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।

ইঞ্জিনিয়ার শামীম জানান বেকার যুব সমাজ ঘরে বসে না থেকে নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট্ট পরিসরে এ জাতীয় বাগান করে সাবলম্বী হতে পারে ।

ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী আল আমিন জানান, গত বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১ একর মাল্টা বাগান দেওয়া হয়েছে। পূর্বে তাদের ১০ একর, ৭ একর ও আরেকটি লেবু ও মাল্টা বাগান রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন