|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল (বাগেরহাট) ||
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানীর পশুর হাট বসেছে রামপালের ফয়লাহাটে ৷ দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী কোরবানীর পশুর হাট এটি ৷ প্রতি বছর এখানে ব্যাপক ক্রেতা সমাগম হলেও করোনা পরিস্থিতির কারনে এবার হাটে তেমন ক্রেতা সমাগম নেই ৷
বৃহস্পতিবার প্রথম হাটে মোটামুটি জমে উঠেছে বেচাকেনা ৷
সরেজমিনে দেখাগেছে, লকডাউন শিথিলের পরই আজ বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজারের সাথে প্রথম পশুর হাট বসেছে ৷ তবে গরুর হাটে ক্রেতা থাকলেও এখনই খুব বেশী কেনাবেচার চাপ নেই ৷
বেশ কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাগিয়েছে, “অনেক ক্রেতাই পশু পছন্দ করছেন , দরদাম করেছেন তবে এখনই কেনায় আগ্রহী হচ্ছেন না” ৷ সামনে আরো কদিন সময় পাচ্ছেন বলে এখনই তারা ব্যাপকহারে কেনাবেচা করছেন না ৷
ক্রেতাদের দাবি, “এবার লকডাউনের কারনে প্রথম হাটে গরু-ছাগল কিছুটা কম উঠেছে ৷ বিক্রেতারাও বেশী দাম হাকাচ্ছে ৷ একদিকে করোনা পরিস্থিতির কারনে অনলাইন হাটে কেনাবেচা করছেন অনেকেই ৷ তবে সামনে রবিবার আরো একটি হাট বাকী থাকায় সেদিন দাম কিছুটা কম হতে পারে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন ৷
ফয়লাহাট পশুরহাট পরিচালনা ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য হাওলাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে হাট বসানো হয়েছে ৷ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রতিনিয়ত মাইকিং এর মাধ্যমে হাটে আসা ক্রেতাবিক্রেতাদের সচেতন করছি ৷ উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান সহ আমরা সার্বক্ষনিক তদারকি করছি যাতে ক্রেতারা নিরাপদে কেনাবেচা সম্পন্ন করতে পারেন ৷ আমরা আশা করছি সামনের হাটে আরো বেশী ক্রেতা বিক্রেতা আসবে এবং হাট জমজমাট হবে ৷
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন দুপুর নাগাদ গরুর হাট পরিদর্শন করে জানান, “এখনও পর্যন্ত যেটি দেখছি তাতে পরিস্থিতি সন্তোষজনক ৷ আমি সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি যে তারা যেনো সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ব্যাবহার করে হাটে কেনাবেচা করে ৷ স্যানিটাইজ করার জন্য এখানে পর্যাপ্ত সামগ্রী রয়েছে ৷ বাজার কমিটির পক্ষ থেকে এখানে ভলান্টিয়ার দেয়া করা হয়েছে ৷ তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা নিশ্চিত করছেন ৷ পাশাপাশি উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরেরে একটি ভেটেরনারি মেডিকেল টিম , জাল টাকা সনাক্ত করার জন্য সোনালী ব্যাংকের একজন অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন ডাক্তার, পুলিশ আনসার সদস্যরা, গ্রাম পুলিশ এখানে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত আছেন ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন ইউএনও ৷