করোনাভাইরাস আতঙ্কে সাতক্ষীরার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমছে। এই ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে না এসে অনেকে মোবাইল ফোনে সাধারণ চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) না থাকায় তারাও আতঙ্কে আছেন। তবে অচিরেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই সরবরাহ করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোট ৩৫০ শয্যার হলেও এক মাস আগে রোগীর চাপে মেঝেতেও পা ফেলার জায়গা থাকতো না। কিন্তু এখন সেখানে ভিন্ন চিত্র। বেশিরভাগ শয্যা ফাঁকা।
দু-সপ্তাহ আগেও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১৩০০ থেকে ১৪০০ রোগী চিকিৎসা নিলেও বর্তমানে নিচ্ছেন ৭০-৮০ জন। বাইরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য আলাদা ইউনিটে একজন ডাক্তার বসে থাকলেও রোগীর দেখা মিলছে না। একই অবস্থা জেলার সাত উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেও।
সাতক্ষীরা জেলা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপার ভাইজার শেফালি সরকার ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়ার স্টাফ নার্সও মৌসিনা খাতুন জানান, সরকারিভাবে কোনো সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলেও করোনার আতঙ্কে নিজস্ব সুরক্ষা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎক সৌদ-বিন খায়রুল আনাম জানান, হাসাপাতালে আসা রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন ভয় ও আতঙ্কে হাসপাতালে রোগী আসা কমে গেছে।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাজিব সরদার জানান, তার উপজেলায় চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য মাত্র ৫০ পিস পিপিই দেওয়া হয়েছে; যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তিনি দ্রুত পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অনেকে মোবাইল ফোনে সাধারণ চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে শুধু রোগীর সংখ্যায় কমছে না, ভর্তি হওয়া রোগীও ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, নির্ভয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অচিরেই দেওয়া হবে।