|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) ||
হাসপাতালে ১৫দিন থেকে মারা গেলেন শ্বশুরকুলের নির্যাতনের শিকার গৃহবধু তাসমিম মিম। মিরপুর উপজেলার কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মহিবুল আলমের মেয়ে তাসমিম মিমকে স্বামী ও শাশুরি মিলে বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গেল পয়লা সেপ্টেম্বর বিকাল চারটার দিকে স্বামী বাপ্পি এবং শাশুরি কোহিনুর বেগম মিলে মিমের উপর নির্যাতন শুরু করে।
একপর্যায়ে অবস্থা খারাপ হলে মা ছেলে মিলে মিমকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মিমের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন ছুটে এলে কোহিনুর বেগম ঘরের ভেতরে লুকিয়ে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে কোহিনুর বেগম দাঁড়িয়ে আছে। আর মিম ঝুলছে ফ্যানের সঙ্গে।
পরে মিমকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাঁকে ঢাকাতে রিলিজ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে গেল ১৫দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মঙ্গলবার ভোর মারা যান মিম।
মিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবা মায়ের আদরের একমাত্র মেয়ে মিমকে ২০১৬ সালে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজ আহমেদ বাপ্পির সাথে বিয়ে দেন। বাবা মহিবুল আলম মেয়ে হত্যার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।