রামপালের সায়েরাবাদ সাঁকোয় পাকা সেতু চান স্থানীয়রা

নদীতে সেতু না থাকায় সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল (বাগেরহাট) ||

জেলার রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ গ্রামের বাজারসংলগ্ন নদীতে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোতে পাকা সেতু চান স্থানীয়রা। তারা বলছেন, জরাজীর্ন বাঁশের সাঁকো পারাপারে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা৷

সরেজমিনে দেখা গেছে , রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ বাজারের দক্ষিনের নদী পারাপারে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের একমাত্র উপায় হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। প্রতিবছর বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করতে হয় এলাকাবাসীকে। সাঁকোটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বেশীর ভাগ মানুষকে পায়ে হেঁটে কাপড় ভিজিয়ে নদী পার হতে হয়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে চারদিকে কাঁচা রাস্তায় ভারী হয়ে যায় লোকজনের চলাচল।

বর্ষাকালে পানির স্তর বেড়ে সাঁকোটি ডুবে গিয়ে পরিণত হয় মরণফাঁদে৷ কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ স্থানীয়রা জানান, নদীতে সেতু না থাকায় সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা। তবে প্রতিবছর একবার করে এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকি।

বাজারসংলগ্ন হওয়ায় এই সাঁকোতেই পারপার হতে হয় প্রচুর সংখ্যক মানুষকে। তাছাড়া স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকেও নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।

গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গিয়াসউদ্দিন সংবাদ সারাবেলাকে জানান, বাগেরহাট ৩ আসনের এমপি ও গসরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক সাহেবকে এই দুর্ভোগের কথা জানানো হয়েছে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আমার এলাকায় এই বাঁশের সাঁকোতে পাকা সেতু এবং সংলগ্ন কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি চাওয়া পূর্ণ হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন