রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে সকালে লাশ মিলল মৎস্য ঘেরে

এক সন্তানের মা সুমি রাতে খাওয়ার পর তার স্বামীর সাথে ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বেড়াতে আসা তার ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার এদিন তাদের বাড়িতে ছিলেন।পুতুল বেগমের মা আকলিমা বেগমর দাবী, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করেন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার একটি মৎস্য ঘের থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫ বছর বয়সী গৃহবধুর নাম সুমি আক্তার পুতুল। নিজের বাড়ী থেকে ২শ গজ দুরে মৎস্য ঘেরে নারকেল গাছের পাতা দিয়ে তার লাশ ঢাকা ছিল।

এক সন্তানের মা সুমি রাতে খাওয়ার পর তার স্বামীর সাথে ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বেড়াতে আসা তার ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার এদিন তাদের বাড়িতে ছিলেন।পুতুল বেগমের মা আকলিমা বেগমর দাবী, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করেন।

তবে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারন এখনই বলা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় এক নারী পানি আনতে যাওয়ার সময় ঘেরের পাশে সুমীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সকলকে জানান। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ খায়রুল আনাম ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসি জানান, মৃতদেহে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া য়ায়নি। কি কারনে অথবা কিভাবে তিনি মারা গেছেন তা এখনও সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে এর আসল রহস্য উদঘাটন হবে।
স্থানীয়রা জানান, যে অবস্থায় যেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে তাতে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হতে পারে। নিহত সুমি পিলজংগ ইউনিয়নের টাউন-নওয়াপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন