|| সারাবেলা প্রতিনিধি, যশোর ||
সন্তান জন্ম দিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মারা গেলেন যশোরের প্রথম নারী ক্রিকেট কোচ সুরাইয়া জান্নাতি তিন্নি। স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই ক্রিকেটার তিন্নি মারা গেছেন।
স্বজনরা জানান, গত ২৯শে জুলাই সন্তান জন্ম দিতে যশোর শহরে ল্যাবজোন হাসপাতালে ভর্তি হন। ল্যাবজোন হাসপাতালের ডা. নিলুফার ইয়াসমিন এমিলি সিজারিয়ান অপারেশন করে তিন্নির সন্তান প্রসব করান। এরপর সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিন্নি। এক পর্যায়ে তিন্নির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারকে জানায় স্বজনরা। কিন্তু তাতে কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ স্বজনদের। বরং ডাক্তার স্বজনদের উপর উল্টো বিরক্ত হন।

স্বজনদের অভিযোগ, ২৯শে জুলাই অপারেশনের শেষ করে চলে যান ডা. এমিলি। এরপর দুই দিন তার কোন দেখা মেলেনি। ৩১শে জুলাই শুক্রবার সকালে ডা. এমিলি প্রথম হাসপাতালে আসেন। রোগীর কাছে না গিয়ে দূর থেকে দেখেই চলে যান তিনি।
হাসপাতালের কর্তৃপক্ষও রোগীর অবস্থার অবনতি ও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বজনদের জানায়নি। ঐ দিন(শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়। জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বাড়িতে বসেই ফোনে রোগীকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
কিন্তু রোগীর অবস্থা খুব বেশী খারাপ হওয়ায় তাকে অতদূরে নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ল্যাবজোনের সামনেই যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অবশেষে শুক্রবার রাত ১০ টায় সদর হাসপাতালেই মারা যান তিন্নি। রেখে যান দুইদিনে সন্তাস, অসংখ্য গুনগ্রাহী।
তিন্নির মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলাকে দায়ী করে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।