বাগেরহাটে ‍‌‌‌‍বন্দুকযুদ্ধে নিহত নৈহাটীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামাল

কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেলো বাগেরহাটের রুপসার নৈহাটি ই্উনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামালের। যিনি এলাকায় ফাটাকেষ্ট নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রামপাল উপজেলার ভেকটমারি এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোস্তফা কামাল নিহত হন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||

কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেলো বাগেরহাটের রুপসার নৈহাটি ই্উনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামালের। যিনি এলাকায় ফাটাকেষ্ট নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রামপাল উপজেলার ভেকটমারি এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোস্তফা কামাল নিহত হন।

গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি গুলি, ধারালো অস্ত্র, একটি ম্যাগজিন, পাঁচশ পিস ইয়াবা, নগদ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। স্থানীয় যুবলীগ নেতা নিহত মোস্তফা কামালের বাড়ি খুলনার রুপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামে। তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় খুনসহ ২৫টি মামলা ছাড়াও শতাধিক জিডি রয়েছে বলে দাবি র‌্যাবের। কামাল পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী দাবি করা হয়েছে।

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ জানান, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ভেকটমারি এলাকায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি মোস্তফা কামাল তার বাহিনী নিয়ে অবস্থান করছে– এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযানে যায়। মাদক ব্যবসায়িরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট গোলাগুলির পর মাদক ব্যবসায়িরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

পরে র‌্যাব সেখান থেকে মোস্তফা কামালকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত কামালকে স্থানীয় রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, রামপাল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় বন্দুক যুদ্ধে একজন মারা গেছে খবর পেয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: মিনা কামাল খুলনার রূপসা উপজেলার চিহ্নিত খুনি-সন্ত্রাসী। কথিত আছে, তার কর্মকান্ডে খুলনার এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশের শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল তার নাম। আবার দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করতেন। রূপসার আলোচিত সারজিল ইসলাম সংগ্রাম (২৮) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মিনা কামালের বিরুদ্ধে ৯ টি হত্যাসহ ২৫টি মামলা এবং শতাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন