|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৭ দিনের শিশু সোহানা আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে তার মা শান্তা আক্তার পিংকি (১৯) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, শিশুটির মায়ের জবানবন্দি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. খোকন হোসেন গ্রহণ করেছেন। শিশুটির মা শান্তা ও বাবা সুজন খানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে বাড়িতে ‘ঘুমিয়ে থাকা’ বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের নবজাতক সোহানা গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে সোহানার দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক অপহরণের মামলা করেন।
চুরি যাওয়ার দুইদিন পর বুধবার সকালে সুজন খানের বাড়ির পুকুর থেকে সোহানার লাশ উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওইদিন দুপুরে পুলিশ শিশুটির বাবা সুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, শান্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বনগঞ্জ গ্রামের ইউনুস মিঞার মেয়ে এবং সুজন মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। দুই বছর আগে সুজনের সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, শিশু সোহানা আক্তারের পিতাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর শিশুটির মা শান্তা ও সুজনকে মুখোমূখি করা হলে তারা মেয়েকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করে। শান্তা ও সুজনের আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের আগের ঘরে একটি করে কন্যা সন্তান রয়েছে। শান্তা তার আগের বিয়ে গোপন করেই সুজনকে বিয়ে করে।
শান্তা তার আগের স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়া অথবা এই ঘরে তার ছেলে সন্তান না হওয়া নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে নবজাতক সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।