বাগেরহাটে একসঙ্গে আত্মহত্যা দুই বোনের

এরা দু’জন আপন চাচাতো বোন আবার বান্ধবীর মতোও চলা ফেরা করতো। তবে কি কারণে তারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক কারণ এখনো জানা জায়নি।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||

একসঙ্গে আত্মহণনের পথ শেষ করলো দুই বোন। জেলার চিতলমারীর কলাতলা ইউনিয়নের কাননচকে মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি বেগম ও প্রীতি বেগম আপন দুই চাচাতো বোন একসঙ্গে বিষ পান করেন। ওদের দুইজনের বয়স ১৯। জানতে পেরে স্বজনরা দ্রুত তাদের গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার ভোরে তারা হাসপাতালেই মারা যান।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের আড়ুয়াবর্ণী গ্রামের শামীমের স্ত্রী বৃষ্টি বেগম ও যশোর সদর উপজেলার দেলোয়ার খানের স্ত্রী প্রীতি বেগম তাদের বাবার বাড়ি উপজেলার কানন চকে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা দু’জন প্রীতি বেগমের বাবা আবদুল খানের ঘরে বিষপান করেন। স্বজনরা বুঝতে পেরে ওই রাতেই তাদেরকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, বুধবার ভোররাতে তারা হাসপাতালেই মারা যান।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ  মীর শরিফুল হক জানান, এরা দু’জন আপন চাচাতো বোন আবার বান্ধবীর মতোও চলা ফেরা করতো। তবে কি কারণে তারা  বিষপানে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক কারণ এখনো জানা জায়নি। কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে দুই বোন মারা যান। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে উভয়ের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বিষপানের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন