ঘর পেলেন বাগেরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেই রতন বিশ্বাস

বিদ্যুত ও পানির সুবিধাসহ নতুন ঘরের সাথে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি খাট, তোষক, বিছানা, বালিস, চুলা, হাড়ি-পাতিল দেওয়া হয় তাকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||

ঘর পেলেন রাস্তার পাশে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে খুপরি ঘরে বাস করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের রণভুমি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় তাঁকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়। বিদ্যুত ও পানির সুবিধাসহ নতুন ঘরের সাথে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি খাট, তোষক, বিছানা, বালিস, চুলা, হাড়ি-পাতিল দেওয়া হয় তাকে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়ে খুশীতে আত্মহারা মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ও তাঁর সহধর্মীনী মনিরা রানী।

ঘর হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের একান্ত সচিব এইচএম শাহিন, ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট পৌরসভার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক তালুকদার প্রমুখ।

এর আগে গত ১৪ই ডিসেম্বর রতন কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে “মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময় সংবাদটি নজরে আসে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় এর। তিনি তাৎক্ষনিক খোঁজ খবর নিতে বলেন। এরপর সদর উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে নগদ টাকা ও কম্বল দিয়ে সহায়তা করা হয়। এবং জায়গাসহ ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। 

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের গৃহসংস্থান প্রকল্পের অধীনে রতন কুমার বিশ্বাসকে ঘর দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার বিশ্বাস রাস্তার পাশের একটি খুপরি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাকে একটি ভালো আশ্রয় করে দিতে পেরে বীর এই মুক্তিযোদ্ধার কাছে আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে পারলাম। এছাড়া আমরা রতন বিশ্বাসের মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। পরবর্তিতে সে বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। এছাড়া তার পৈত্রিক সম্পত্তি জায়গা-জমি দখলের যে বিষয়টি তিনি আমাদের জানিয়েছেন সেটিও গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। প্রথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, তার পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি বিভিন্ন জন দলিল করে নিয়েছেন এবং সর্বশেষ রেকর্ডে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ড রয়েছে। সেই দলিল সঠিক না বেঠিক সেটি আদালতে প্রমানসাপেক্ষ বিষয়। যার জন্য সে বিষয়টি নিয়ে আমরা তার সাথে কথা বলবো এবং তাকে আইনগত সহয়তা দেয়া হবে।

সংবাদ সারাদিন