|| উপজেলা প্রতিনিধি, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) ||
ভেড়ামারার সোহাগ রানা চাকরি করতেন ঢাকাতে। বাড়ি উপজেলার বারোদাগে। বাবা শাহ জামান। ঢাকায় থাকতেই রানার শরীরে দেখা দেয় করোনা উপসর্গ। গত ২৩শে মে নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েই চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে।
বাড়ি এসেই ২৪মে ঈদের আাগের দিন গোপনে বিয়ে করেন পাবনার ঈশ্বরদীতে। বউ নিয়ে আসেন নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার ২৮শে মে। বউ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেও যান রাসেল। শুক্রবার ২৯শে মে সকালে জানা যায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
এ খবর জানার পরেই ঈশ্বরদী থেকে বউ নিয়ে ভেড়ামারায় এসেছেন ওই যুবক। করোনা সংক্রমিত ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে বিপাকে পড়েছে মেয়ের পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রানার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানিয়েছেন, বর্তমানে নবদম্পতি ভেড়ামারায় রয়েছেন। বরের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানার পর আমরা তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করেছি। ওই বাড়ির সবার নমুনা সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ বলেন, ‘ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানবার পর তাঁর বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ ও নারী ১৪ জন।