|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||
হত্যা মামলার আসামী রাজা ফকির বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হেফাজতে মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পিবিআই বলছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে মারা যায়। মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
এরআগে সোমবার রাতে রাতে রাজা ফকিরের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। নিহত রাজা ফকির বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী দীঘির পাড় এলাকার বাবু ফকিরের ছেলে।
বাবা বাবু ফকির বলেন, গত রোববার রাতে পটুয়াখালীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাজা ফকিরকে বাগেরহাট পিবিআই’র এসআই আবু সাইদ আটক করে বাগেরহাটে নিয়ে আসেন। আনার পথে রাজার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বাগেরহাটে আনার পরও নির্যাতন করা হয় তাকে।
এমনকি ওই এসআইয়ের ফোন দিয়েই আমাদেরকে কল করে নিজের ওপর নির্যাতনের কথা জানায় রাজা।”
“বাদী পক্ষের সহায়তায় পুলিশ আমার ছেলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’ বলেন বাবু ফকির।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী মাজার মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে ১৮ বছরের যুবক তালিম মল্লিক নিহত হয়। খুনের অভিযোগে একই এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীরের ছেলে মিলন ও রাজা ফকিরকে আসামী করে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা করেন তালিমের পরিবার। সেই মামলায় পিবিআই রাজা ফকিরকে গ্রেফতার করে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে.এম হুমায়ুন কবির বলেন, “বাগেরহাট পিবিআই পুলিশের সদস্যরা রাজা ফকির নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন রাজা ফকির মৃত। ময়না তদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে পিবিআই বাগেরহাটের কোন কর্মকর্তা বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।