||অনলাইন প্রতিনিধি, গাজীপুর ||
গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কে কমনইলান্দ ও জেব্রা বাচ্ছা দিয়েছে। এর আগেও এ দুই প্রাণিই বাচ্ছার জন্ম দিয়েছে। পার্কের আফ্রিকান সাফারি বেষ্টুনিতে প্রাকৃতিক ভাবেই বাচ্ছাগুলোর জন্ম হয়। এরা মুলত আফ্রিকার সাবানা অঞ্চলের চারণভূমিতে বসবাস করতে পছন্দ করে।
উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে সাফারি পার্কে জেব্রা ও কমনইলান্দ শাকবের জন্ম হলো। জন্মের পর পর মায়ের সাথে বনের ভিতরেই বিচরণ করছে জেব্রা ও কমনইলান্দ শাকব।
গত ১০ জুন কমনইলান্দ শাবকের জন্ম হয়। আজ ১৫ জুন জন্ম হলো জেব্রা শাবকের। শাবকগুলো সুস্থ্য সবল রয়েছে বলে জানান সাফারি পার্কের ওসি তবিবুর রহমান।
পার্ক কতৃর্পক্ষ জানান, সাফারি পার্কের আফ্রিকান সাফারি বেষ্টুনিতে উন্মুক্ত বসবাস করে কমনইলান্দ। এ বেষ্টুনিতে জেব্রা পালের বসবাস রয়েছে। পার্কের কোর সাফারির একটি অংশ আফ্রিকান সাফারি জোন। এখানে হরিণ,জিরাফ,অরিক্স,গ্যাজেল, ওয়াল্ডবিস্ট একত্রে উন্মুক্ত বিচরণ করে। পার্কের নিজস্ব নিয়মে এদের খাবার দেওয়া হয়। পার্কে এখন বাচ্ছাসহ উনিশ টি জেব্রা ও তিনটি কমনইলান্দ রয়েছে।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, কমনইলান্দ সাধারনত একটি বাচ্ছার জন্ম দেয়। এরা নয় মাস গর্ভকালীন সময় পার করে। এদের গড় আয়ু বিশ থেকে পঁচিশ বছর। ফিমেল (নারী) কমনইলান্দ দুই থেকে তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। মেইল ( পুরুষ) চার থেকে পাঁচ বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়।
এদিকে জেব্রাও একটি বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে। জেব্রা বারো থেকে তের মাস গর্ভকালীন সময় পার করে। গড় আয়ু বিশ বছর। পুরুষ জেব্রা চার বছরে ও নারী জেব্রা তিন বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। তিনি বলেন জন্ম নেওয়া কমনইলান্দ বাচ্ছাটি পুরুষ। এর আগে সাতটি পুরুষ জেব্রা ও এগারটি নারী জেব্রা ছিল। জন্ম নেওয়া জেব্রা শাবকের লিঙ্গ নির্ণয় করা যায়নি।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান জানান, জন্মের পরেই আমাদের নজরে আসে শাবক দুটি। মায়ের দুধ পান করছে।