|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ||
২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার উচ্ছেদ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে সংগঠিত সংঘর্ষের প্রায় তিন বছর পর মামলা করেছে যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খান। মামলায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ১৭ সমর্থকের বিরুদ্ধে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত মামলাটি আমলে নেন। এ ব্যাপারে আদালত সদর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় আদালতে মামলার আর্জি পেশ করেন নিয়াজুল।
মামলায় আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, শহর যুবলীগের সহ সভাপতি কামরুল হুদা বাবু, মেয়র আইভীর ভাই ও শহর যুবলীগের সেক্রেটারি আহমেদ আলী রেজা উজ্জল, আমিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল নেতা সরকার আলম, হাজী নেওয়াজ, সৈকত মেম্বার, মোতালিব, ফারুক ও লিপু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল কাদির মিমন ও কাউন্সিলর মো. হান্নান সরকার।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজামান জানান, হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিয়াজুল ইসলাম ১৭ জনের নামে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০২১সালের ২২শে মার্চ নির্ধারণ করেন।
মামলার বাদী নিয়াজুল অভিযোগ করেন, বিবাদীরা তাকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেয়। এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, নগদ ২ লাখ টাকাও নেয়। হত্যার উদ্দেশ্যে সুফিয়ান, উজ্জল, বাবু ও মিমন তাকে পেটায়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের শহরে হকার ইস্যু নিয়ে সংগঠিত সংঘর্ষের পরদিন ১৭ জানুয়ারি যুবলীগ নেতা নিয়াজুলের পক্ষে তার ভাই রহমান ইসলাম খান সদর মডেল থানায় এই ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।