শান্তির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর গ্রেনেডসন্ত্রাসের দিন আজ ২১শে আগস্ট

“ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।”

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

শান্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস প্রতিষ্ঠার দিন আজ ২১শে আগস্ট। আজকের এই দিনে সন্ত্রাসবিরুদ্ধ শান্তিসমাবেশে অংশ নিতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছিলেন দলের শীর্ষনেতা শেখ হাসিনাও। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সেসময়ের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই ছিলেন রাষ্ট্রিয় মদদে সেই গ্রেনেড সন্ত্রাসের প্রধান লক্ষ্য।

দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠেয় সেদিনের সেই শান্তিসমাবেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাস! ঘটনাস্থলেই ১৬ জন সহ সেই সন্ত্রাসের মারা যান দলের শীর্ষসারির নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আজো সন্ত্রাসী সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বলে বেড়াচ্ছেন দলটির অর্ধশত নেতাকর্মী। যারা সেদিন নিজেদের জীবন দিয়ে আগলে রেখেছিল তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে।

সেদিনের সেই গ্রেনেড সন্ত্রাসকে স্মরণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, রাষ্ট্রিয় মদদে সন্ত্রাসীরা সেদিন আসলে দেশে স্বৈরশাসনই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।”

সেসময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল একাত্তরে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামবিরুদ্ধ ও পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ আরেক ইসলামী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আর বিরোধী দলের নেতা ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় একটি ট্রাকের ওপর নির্মাণ করা হয় সন্ত্রাসবিরুদ্ধ সমাবেশমঞ্চ। দিনটি ছিল শনিবার। বিকাল ৩টা থেকে বক্তব্য দিতে শুরু করেন দলের মধ্যম সারির নেতারা। ঘন্টাখানেক পর মঞ্চে আসেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাদের বক্তৃতার মধ্যেই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে আসেন সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা। নেতা-কর্মীরা উন্মুখ হয়ে আছেন নেত্রীর বক্তৃতা শুনতে।

ট্রাকে তৈরি মঞ্চের পেছনে বাঁ দিকে সিঁড়ি করা হয়েছিল উপরে ওঠার জন্য। আর ট্রাকের শেষ মাথায় ডানদিকে রাখা টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন নেতারা। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সেই টেবিলের সামনে আসেন ঠিক বিকাল ৫টা ২ মিনিটে। শুরু করেন বক্তৃতা। তার দুই পাশে ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। আর বক্তৃতা টেবিলের পাশে বসেছিলেন নেত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মঞ্চ থেকে নামার সিঁড়ির কয়েক গজের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির বুলেট প্রুফ মার্সিডিজ গাড়ি। সেখানে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা।

শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষ করেন ৫টা ২২ মিনিটে। বক্তৃতাশেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে মাইক থেকে সরে যাওয়ার মুহূর্তেই বিস্ফোরিত হয় প্রথম গ্রেনেড। ট্রাকের বাঁ পাশে পড়ে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতা এবং নিরাপত্তাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে ট্রাকের ওপর বসিয়ে দেন। এর পরপরই আরও তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়; চারদিকে ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে যায়। শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত মেজর শোয়েব মো. তারিকুল্লাহ ট্রাকের সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে নামিয়ে আনতে বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে।

মায়াসহ দেহরক্ষীরা শেখ হাসিনাকে ধরে নামিয়ে নেওয়ার সময় আরেকটি গ্রেনেড ট্রাকের পেছনের ডালায় বাড়ি খেয়ে পাশেই বিস্ফোরিত হয়। ফলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আবার সবাই ট্রাকের ওপর বসে পড়তে বাধ্য হন। নেতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে শেখ হাসিনাকে ঘিরে তৈরি করেন মানববর্ম। কিন্তু শোয়েব নিচ থেকে জানান, বিস্ফোরণে ট্রাকের তেলের ট্যাংক ফুটো হয়ে গেছে, যে কোনো মুহূর্তে ট্রাকে আগুন ধরে যেতে পারে।

শেখ হাসিনার পায়ের স্যান্ডেল তখন কোথায় ছিটকে গেছে, চশমাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। ওই অবস্থায় মামুন, শোয়েব এবং অন্যরা মিলে তাকে নিয়ে গাড়ির সামনে বাঁ দিকের আসনে বসিয়ে দেন। সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বিস্ফোরণে আহত নেতাকর্মীদের ছেড়ে যেতে চাইছিলেন না শেখ হাসিনা। অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তাকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে সুধা সদনে নিয়ে যাওয়া হয়।

শেখ হাসিনা যখন ঘটনাস্থল ছাড়ছিলেন তখনো গ্রেনেড ছোঁড়া হচ্ছিল; পাওয়া যাচ্ছিল গুলির শব্দ। ট্রাক আর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মাঝখানে বেশ কয়েক জায়গায় পড়ে ছিল ছিন্নভিন্ন লাশ; বিস্ফোরণের শব্দ, আহতদের আর্তনাদ, রক্তাক্ত নেতা-কর্মীদের ছুটোছুটিতে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।

ওই হামলা আর বিস্ফোরণের পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ওই অবস্থায় রিকশা, বেবিট্যাক্সি, এমনকি রিকশাভ্যানে করেও আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।

সেদিনের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪শে অগাস্ট মারা যান। প্রায় দেড় বছর পর মারা যান ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। পরে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে।

২১শে অগাস্ট হামলায় নিহত অন্যরা হলেন শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, হাসিনা মমতাজ, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম। একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে সেদিন গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হন তারেক আহমেদ সিদ্দিক, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শোয়েব মো. তারিকুল্লাহসহ নেতাকর্মীদের অনেকে।

আকস্মিক হামলার মুখে প্রাণ তুচ্ছ করে তারা যে মানবঢাল তৈরি করেছিলেন, সেই দুঃসাহসিক চেষ্টায় সেদিন বেঁচে যায় বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রাণ।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার পর সেদিনই টেলিফোনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। বলেন, “আমার কর্মীরা জীবন দিয়ে আমাকে বাঁচিয়েছে। গ্রেনেড যখন বিস্ফোরিত হচ্ছিল, তখন নেতা-কর্মীরা আমাকে ঘিরে রেখেছিল| তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। এখনো আমার কাপড়ে তাদের রক্ত লেগে আছে।”

এ কথা বলতে বলতে সেদিন কেঁদে ফেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সরকারের মদদে সারা দেশেই তো বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। আমাদের এ মিছিলটাই ছিল বোমা হামলা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এ জন্যই তারা জবাব দিল গ্রেনেড মেরে। আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে মুহূর্তে আমি সিঁড়ি দিয়ে নেমে গাড়িতে উঠব, ঠিক তখনই ওই জায়গাটাই হামলাকারীরা টার্গেট করেছিল। পরপর ৮-১০টা গ্রেনেড ফাটে। এখনো ওখানে দু-তিনটা অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পড়ে আছে। আমাদের মহিলাকর্মীসহ অনেকে নিহত হয়েছেন। প্রেসিডিয়ামের প্রায় সব সদস্য আহত হয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যখন হতাহতদের উদ্ধার করছিল, ঠিক সেই সময় পুলিশ উল্টো কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে বলে বিবিসিকে সেদিন জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “পুলিশ আহতদের সাহায্য করতে এগিয়ে না এসে যেভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করল ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ল, তাতে তো বোঝা যায়, এটা সম্পূর্ণ সরকারের মদদে করা হয়েছে।”

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল শুরু থেকেই। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তদন্ত শুরু হলে বেরিয়ে আসতে থাকে নানা তথ্য।

২০০৮ সালের জুনে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই তাজউদ্দিন, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুরু হয় অধিকতর তদন্ত। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ ২০১১ সালের ৩রা জুলাই আসামির তালিকায় আরও ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। সেখানে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ চার দলীয় জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নাম আসে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নেতারা তদন্তের শুরুতে এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ওই হামলায় জড়িত বলেও সে সময় প্রচার চালানো হয়েছিল।

কিন্তু সম্পূরক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট হামলার পর থেকেই তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে কাজ শুরু করে। হামলার অনেক আলামত সে সময় নষ্ট করে ফেলা হয়। হামলার বিষয়ে নোয়াখালীর জজ মিয়ার ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দেওয়ার বিষয়টি যে নাটক ছিল, সেটাও তখনই বেরিয়ে আসে।

হামলার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। আর খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন