|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর ||
মাদারীপুরের ডাসারে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন করায় স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুর নতুন শহর এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত বিচারের দাবী জানিয়েছেন নির্যাতিতা স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সনে কাবিনমূলে মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বোতলা গ্রামের আ: হাই আকনের মেয়ে লিপি আক্তার (৪০) এর সাথে ঝাউদি ইউনিয়নের পশ্চিম টুবিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আনোয়ার হাওলাদারের সাথে নগদ ৪০ হাজার টাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার মূল্যবান আসবাবপত্রসহ আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্বামী আনোয়ার হাওলাদার (৫০) বিভিন্ন ব্যবসার অজুহাতে লিপি আক্তারের পিতার কাছে যৌতুক দাবী করে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনার কয়েকদিন আগে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। লিপি আক্তার তাঁর বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে চুলের মুঠি ধরিয়া সারা গাঁয়ে এলোপাথারি পিটাইয়া নিলাফুলা জখম করে এবং তলপেটে লাথি মেরে, কিল, ঘুষি মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে। এই ঘটনায় লিপি আক্তার বাদী হয়ে মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪ জুলাই মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী লিপি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করলেও আমি তার ঘর সংসার করার জন্য এলাকায় একাধিকবার সালিস মিমাংসা ডাকা হয়। দরবার সালিসে গণমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে ঘর সংসার করার স্বীকার করলেও বাস্তবে সে আমাকে নিয়ে সংসার না করে নির্যাতন চালায়। তাই আমি বাধ্য হয়ে সুবিচার প্রাপ্তির আশায় মামলা দায়ের করেছি।
বালিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান বলেন, ‘ওই ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকবার লিপি আক্তারের স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তার স্বামী ঘর সংসার ও সন্তানদের ভরণ পোষণ দিতে আগ্রহী নয়। তাই আমরা লিপি আক্তারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি’।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘মামলাটি আদালত থেকে এখনও থানায় আসেনি। থানায় আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো’।