মুন্সীগঞ্জে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৪৯, এ পর্যন্ত ১৬৬ জন

|| অনলাইন প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ ||

মুন্সীগঞ্জের সদর, সিরাজদিখান, গজারিয়া, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও পুলিশসহ নতুন করে আরও ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৬ জনে। রোববার ৩রা মে বিকাল ৩ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।

সিভিল সার্জন জানান, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) ও আইইডিসিআর তাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬ জন, মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নার্স-কর্মী ৩ জনসহ সদর উপজেলায় ২৩, সিরাজদিখানে পুলিশসহ ৬ জন, শ্রীনগরে ১১ জন, গজারিয়ায় ৭ জন এবং লৌহজংয়ে ২ জন।

এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে সর্বমোট ১৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে । রোববার ১২২ জনসহ জেলার মোট ৯৫০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭৮৭ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, লক্ষণ ছাড়াই মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই কারো মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে, সাথে সাথে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা দেওয়ার পাশাপাশি আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুরোনোদের সংস্পর্শে এসে হচ্ছেন।

তিনি মনে করেন, পরীক্ষা বেশি করা গেলে হয়ত পজিটিভ রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মানুষ সাবধান হতে পারবে। এ জন্য মুন্সিগঞ্জে সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো বলে জানান সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, সংক্রমন দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই রোগী, স্বজন ও প্রতিটি এলাকার মানুষকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।

এখন পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৬৮ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১২, সিরাজদিখান উপজেলায় ২৯, শ্রীনগর উপজেলায় ২২ জন, লৌহজং উপজেলায় ১৬ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ১৯জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সদরে চারজন, টঙ্গিবাড়ীতে দুইজন ও লৌহজং উপজেলায় একজন করোনা শনাক্ত হওয়ার আগেই মারা যান। তবে, সিরাজদিখান উপজেলায় একই পরিবারের দু’জন , শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও সদর উপজেলায় একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন