মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুুন্সিগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় নতুন করে আরও ৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৫৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫৪ জন ও মৃত ২৩ জন রয়েছেন। করোনা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ৫৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ। উদ্বেগ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি মৃতের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধির মেনে না চললে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির হবে। অতএব স্বাভাবিক জীবনযাপনে এ মুহূর্তে ফেরার কোনো সুযোগ নেই । করোনার সাথে যুদ্ধ করে চলতে হবে আমাদের সকলকে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে , মুুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৫ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৭ জন , লৌহজং উপজেলায় ১১ জন , শ্রীনগর উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৩ জন রয়েছেন। এর মধ্যে মৃত নতুন দুইজন হলেন, টংগিবাড়ী উপজেলায় একজন ও সিরাজদিখান উপজেলায় একজন। তারা গত বুধবার মুন্সিগঞ্জ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাযায়, গত ১ ও ২ জুন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ২৮০ জনের ফল এসেছে। সেখানে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়। গত কাল বৃহস্পতিবার ২১৩ জনসহ জেলার মোট ৫ হাজার ২২৩ জনের নমুনা এ পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৬৮৮ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৪১১ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় ৫২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১২০ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৮৪ জন, লৌহজং উপজেলায় ৯৬ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ৯০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে একজন স্বাস্থকর্মীসহ ১৩ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় চারজন , সিরাজদিখান উপজেলায় দুইজন, শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও লৌহজং উপজেলায় তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার কেউ সুস্থ হয়নি বলে জানাযায়। এরআগে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৩ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৪৬ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩৯ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় ২৬ জন, লৌহজং উপজেলা ১০ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৮ জন রয়েছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিরবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে । এ মুহূর্তে জনসচেতনা বৃদ্ধি না হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারন করবে। ইতোমধ্যে জেলায় ২৩ জন মারা গেছেন। তাই ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব । জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না । সকল ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে ।
সংবাদ সারাবেলা/আরি/নাআ/সেখা