।। সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ।।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশজুড়ে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে সেইসাথে গত কয়েকদিনে বেড়েই চলছে মৃত্যু সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুত্রে জানা যায়, গত ৫ দিনে প্রায় ৪০ জনের মত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকলেও করোনার হটস্পট নারায়নগঞ্জের সাধারণ মানুষের মাঝে নেই স্বাস্থ্যবিধি, সামজিক দুরুত্ব। সরকার থেকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক থাকলেও তা তোয়াক্কা করেছেন না অনেকেই।
সরজমিনে দেখা যায়, শহরের রাস্তা-ঘাট, মার্কেটগুলোতে তুলনামূলকভাবে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদের অনেকের সাথে মাস্ক দেখা গেলেও কেউ কেউ তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করছেন না। কারও মাস্ক হাতে কিংবা পকেটে। আবার কারও মুখের নিচে। কেউ বা চায়ের দোকানে আড্ডায় মগ্ন থাকছেন করোনার পূর্বের দিনগুলোর মত। ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধারণ ক্রেতা মাস্ক ছাড়া ও ক্ষুদ্রতম দূরত্ব বজায় না রেখেই খাবার বা শরবত কিনছেন যেখানে বিক্রেতার মুখেও মাস্ক নেই।
অন্যদিকে গণপরিবহনগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রী ওঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা শরীরের তাপমাত্রা মাপার কোনও চিত্র চোখে পড়েনি। হেলপারদের মুখেও নেই না মাস্ক। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
চাষাড়ায় সুজন নামে এক দোকানি বলেন, মাস্কতো প্রায়ই ব্যবহার করি কিন্তু মাঝে মধ্যে গরম লাগে তাই পড়তে ইচ্ছে করে না। আমরা গরীব মানুষ আমাদের এতো স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজন নেই। আমাদের করোনা ধরবে না।
২নং রেলগেইট এলাকার মেহদি হাসান সজিব বলেন, আমাদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কেউ মাস্ক পড়ছে প্রকাশ্যে মাস্ক ছাড়া ঘুরছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।
সচেতন নাগরিকদের মতে, যেখানে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহারে অনেকাংশে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকারীভাবে সকলের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।