মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাঠানকান্দি ও বেপারীপাড়া গ্রামের দুই নারী মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যকে বুধবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৮ এর সদস্যরা। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের মাদারীপুরের রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজৈর থানা পুলিশ আসামিদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।
র্যাব – ৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বুধাবার বিকেলে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান, ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা এবং ১১ জন বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত করে লিবিয়ায় অবস্থান করা মানব পাচারকারী চক্র। মাদারীপুরের রাজৈর থানায় দায়ের হওয়ার মামলার আসামিদের ধরতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন দিগনগর এলাকা এবং বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে মুকসুদপুর থানাধীন দিগনগর গ্রাম হতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাঠানকান্দি গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৪২) কে গ্রেফতার করে। এর কিছু সময় পরে র্যাব সদস্যরা বরিশাল জেলার গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী বুলু বেগম (৩৮) কে গ্রেফতার করে
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেন। আসামি রাশিদা বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ লিবিয়ায় অবস্থান করে এবং অবৈধভাবে লিবিয়ায় বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন উপায়ে মানব পাচার করে। রাশিদা বেগম ভিকটিমদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় গত ১ জুন ২০২০ দায়ের হওয়া মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন মামলার এজাহার নামীয় আসামি। গ্রেফতারকৃতদেরকে রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য লিবিয়ায় হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরের ১১ জন যুবক প্রাণ হারায় এবং ৪ জন গুরুতর আহত হয়। মাদারীপুরের নিহতদের পরিবারের সদস্যা রাজৈর ও মাদারীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করেন। থানায় দায়ের হওয়া এজাহার নামীয় আসামিদের র্যাব অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
সংবাদ সারাবেলা / মিলন/ নাআ/সেখা