|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ||
শুরু থেকেই স্থানীয় ও মসজিদ কমিটির অভিযোগের আঙ্গুল তিতাস কর্তৃপক্ষের দিকে। তারা তিতাস গ্যাসকে ছিদ্র ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু এ জন্য তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা। টাকার সঙ্কটের কারণে তারা তা দিতে পারেননি। এ কারণে গ্যাস লাইনও ঠিক করে দেয়া হয়নি।
তবে অভিযোগের অনেকটা সত্যতা মিলেছে সোমবার বিস্ফোরণ হওয়া মসজিদটির উত্তর পাশের মাটি খুঁড়তে গিয়ে। মিলেছে গ্যাসলাইনের পাইপে দুটি লিকেজ । এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিতাস গ্যাস কোম্পানি নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা জোনের ৮ কর্মকর্তা- কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে সাময়িক বরখাস্তসহ কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না তার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
যেসকল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা মিলেছে তারা হলেন, ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌ. মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস. এম হাসান শাহরিয়ার এবং সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া।
একই জোনের অভিযুক্ত কর্মচারীরা হলেন, সিনিয়র সুপারভাইজার মোঃ মনিবুর রহমান, সিনিয়র উন্নয়নকারী মোঃ আইউব আলী, সাহায্যকারী মোঃ হানিফ মিয়া এবং প্রকর্মী মোঃ ইসমাইল প্রধান।
সোমবার রাতে ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস কোম্পানি নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মসজিদের উত্তর পাশে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি চিকন সংযোগ লাইনে দু’টো লিকেজ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত অবৈধ কোন লাইন পাওয়া যায়নি।