|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর ||
গেলো দুই দিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে তেমন যাত্রীর চাপ নেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। ফেরির তুলনায় লঞ্চে যাত্রীরা বেশি পারাপার করছে। এতে দুর্ভোগ কমেছে রাজধানীমুখী যাত্রীদের। যাত্রীরা লকডাউনে ফেরির সাথে লঞ্চ চলাচল চালু রাখার দাবী করছেন। এদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া উভয় ঘাটে পন্যবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। দু’ঘাটে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গার্মেন্টসসহ রপ্তানীমুখী কল কারখানা খোলার ঘোষণায় গেলো দুই দিনে ফেরি ও লঞ্চে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের রাতে নামে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে। কঠোর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদ্মা নদী পার হন। পরে উভয় ঘাটে প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নৌযানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন কোন লক্ষণ নেই। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রাতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঘাটে আসছে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। উভয় ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
ঢাকামুখী শিমুল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে গেলো দুই দিনের চিত্র দেখে ঢাকা যাওয়ার নাম নেইনি। আজ ভাবছি, পরিস্থিতি ভালো। তাই পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি। তবে পরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে। ঘাটে তেমন কষ্ট হচ্ছে না। যদি লঞ্চ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতো তাহলে আমাদের দুর্ভোগ হতো না।’
নিয়মিত লঞ্চ চলাচল রাখার বিষয় লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যাত্রীরা ফেরিতে যেভাবে গাদাগাদি আর ঠাসাঠাসি করে নদী পার হয়, এতে করোনা আরো বেশি ছড়ায়। যদি লঞ্চে নিয়ম করে যাত্রী পারাপার করা যায় তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমে যেতো। এই কয়েকদিনে স্মরণকালের দুর্ভোগ হয়েছে যাত্রীদের। তাই এব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা রাখছি।’
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে এরুটে ১০টি ফেরি চলছে। রো রো ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তীতে সেগুলো চালানো হবে। এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী পরিবহন, পচনশীল দ্রব্যের ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।