বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঢাকা ||

অস্ত্র আইনের মামলায় আওয়ামী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রোববার এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পাশাপাশি আসছে ৩১শে আগস্ট থেকে ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন।

অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পাপিয়া ও সুমনকে রোববার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু এবং তাপস পাল।

অন্যদিকে দুই আসামির অব্যাহতির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু ফাতেহ মো. গোলাম ফাত্তাহ ও শাখাওয়াত হোসেন।

এ ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস পাল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পাপিয়া ও সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা দোষী না নির্দোষ। তারা দুজনেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এ মামলা থেকে অব্যাহতি চান। শুনানি শেষে বিচারক তাদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র‌্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও ।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

এর মধ্যে শেরে বাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৯শে জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন র‌্যাবে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন