প্রসূতি মৃত্যুর দাবি দুই লাখ টাকার সমঝোতায় জড়িত অভিযোগে এসআই ক্লোজড

স্বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, ‘মীমাংসার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে স্পষ্টভাবে জানি না। এই মীমাংসার সময় পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার বিষয়টিও জেনেছি। পরে পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছেন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর ||

পুলিশের উপস্থিতিতে চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা দুই লাখ টাকায় মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে। শহরের জেলা শহরের ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালের এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার সকালে ক্লোজড করা হয়েছে সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলামকে।

স্বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, ‘মীমাংসার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে স্পষ্টভাবে জানি না। এই মীমাংসার সময় পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার বিষয়টিও জেনেছি। পরে পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছেন। এর বাইরে তেমন কিছু জানি না।’

থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের ২২ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা রুনা আক্তারকে সকাল ৮টার দিকে ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলা প্রসূতির সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়ান।

এসময় চিকিৎসকের অবহেলায় ওই প্রসূতি মারা যান বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। এই ঘটনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, শেয়ার মালিক জাকির দর্জি, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রভাবশালী একটি মহল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন। এই মিমাংসা প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় শনিবার সকালে এসআই জহুরুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়। ঘটনা তদন্তসময়ের জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন