সারাবেলা প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জঃ
করোনা আতঙ্ক নিয়ে বিপজ্জনক জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার শহর ও ২টি উপজেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।জেলাটি বর্তমানে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হলেও সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্য সরকারী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট( ভিক্টোরিয়া ) হাসপাতালে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা ।
সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের শুধু মাত্র ডাক্তার ছাড়া কোন সেবিকা, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের নেই করোনা ভাইরাস সুরক্ষার জন্য পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুভমেন্ট)। তাদের মধ্যে অনেকের কাছে গ্লাভস ও মাস্ক দেখা গেছে, কিন্তু সেবিকা ও ওয়ার্ডবয় রোগীর সবচেয়ে কাছে থেকে সেবা প্রদান করে। জানাগেছে নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারীর নারীর (৪৫) মৃত্যু হয়েছিল সে নারীর সবচেয়ে নিকটে থাকা এক ওয়ার্ডবয়কে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে চিকিৎসা প্রদানকারী এক ডাক্তারসহ আরও ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছ।
হাসপাতালের বেশ কয়েকজন নার্স (সেবিকা) সংবাদ সারাবেলাকে জানান, সম্পূর্ণ জীবনঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করে আসছি। বর্তমানে শহর লকডাউন হওয়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই পায়ে হেঁটে হাসপাতালে আসছি।নিজে অসুস্থ তারপরও হাসপাতালে আসছি সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান করতে। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার কথা কারও কোন চিন্তা নেই। আমরা রোগীর সবচেয়ে কাছে থেকে ঝুঁকি নিয়ে সেবা প্রদান করে থাকি, অথচ আমাদের পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুভমেন্ট) প্রদান করা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পিপিই থাকা স্বত্বেও আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। মাস্ক, গ্লাবস একটি করে দেওয়া হয়েছিল যা পুনরায় ব্যবহার করছি।কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে করোনা রোগী সনাক্ত হলে ঐ রোগীর সেবা প্রদান করতে গেলে পিপিই দেওয়া হবে।
জানাগেছে, হাসপাতালটিতে মোট ৪০ জন ডাক্তার এবং ১০৭ জন নার্স চিকিৎসা সেবা দেন। বর্হি বিভাগে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ বিভাগে ৬ দিনে ৬ জন ডাক্তার বসেন। এ বিভাগে সপ্তাহে এই ৬ জন ডাক্তারকে পিপিই দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে সারাবেলা প্রতিবেদককে জেলা সিভিল সার্জন ড. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, জরুরী বিভাগে যেসকল নার্স কর্মরত আছেন তাদের পিপিই দেওয়া হয়েছে।যেসকল নার্স রোগীর খুব কাছাকাছি যাবে তাদের তখন পিপিই প্রদান করা হবে, সকল নার্স(সেবিকার) পিপিই প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।
প্রচ্ছদ » খেলা সারাবেলা » পিপিই নেই সেবিকার, জীবন ঝুঁকিতে রোগীর সেবা!