|| সারাবেলা প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ ||
করোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জের ৩টি এলাকায় অধিক সংক্রমণ থাকার কারণে রেড জোন ঘোষণা করে নতুন করে লকডাউন দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
রোববার ৭ জুন বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ এই সিদ্ধান্ত জানায় জেলা প্রশাসন। লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকা তিনটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া, জামতলা এবং ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড়ের রূপায়ন টাউন। এই তিন এলাকায় আগামী ১৫ থেকে ২১ দিন মানুষের চলাচল সংরক্ষিত থাকবে।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন বলেন, পুরো জেলা এই মূহুর্তে একসাথে লকডাউন করা সম্ভব না। ফলে ধীরে ধীরে জোনে ভাগ করে আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে হবে। তিনি জানান, রেড জোন চিহ্নিত এলাকা থেকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তি বাহির থেকে প্রবেশ ও বাহির হতে পারবেন না। কোন গণপরিবহন থামবে না, কাঁচাবাজারের পরিবর্তে ভ্রাম্যমাণ বাজার স্থাপন করা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত বন্ধ থাকবে পূর্বের মতই।
একই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এই তিন এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করেছি। আমাদের লক্ষ্য রেডজোনকে ইয়োলো জোনে আনা এবং ইয়োলো জোনকে গ্রীন জোনে নিয়ে আসা। আগামী ৪ দিন লকডাউনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে রাখবো। এর পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। তিনি আরও জানান, ঐ সকল এলাকায় আমাদের ডাক্তার থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। সেখানে আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা চলমান থাকবে। প্রত্যেক ডাক্তারের কাছে ১০০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির তথ্য থাকবে তারা প্রতিদিন ফোন দিয়ে সবার খোজ খবর নিবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি ইমরান সিদ্দিকী বলেন, লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ প্রশাসন শতভাগ কাজ করবে। যখন পুরা জেলা লকডাউন ছিল তখনও পুলিশ কাজ করেছে। লকডাউন এলাকাগুলোতে কোন লোক বের হতে পারবে না এবং ভিতরে থাকা লোক বের হতে পারবে না।