|| মাদারীপুর প্রতিনিধি ||
মাদারীপুর সদর মডেল থানার নারী পিএসআই অনিমা বাড়ৈ’কে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় কথিত প্রেমিক রণবীরকে মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত দেড়টার দিকে ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। অনিমা বাড়ৈর পূর্ব পরিচিত জাকির হোসেন, বাতেন বা রণবীর একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করতো। কথিত প্রেমিক জাকির হোসেন (২৮) গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার শিমুলবাড়ী গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম ছেলে।
৪২দিন অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার হেমায়েতপুর (যাদুরচর) এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৯ মে) রণবীরকে গ্রেফতার করা হয় । মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, গত ৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ডিউটি শেষে থানা থেকে পুলিশ লাইনে যাওয়ার পথে শহরের পৌর শিশুপার্কের সামনে তার ওপর হামলা চালায় রণবীর। রণবীর ধারালো অস্ত্র দ্বারা অনিমা বাড়ৈ’কে হত্যার উদ্দেশ্যে উভয় হাতে এবং গলায় আঘাত করত: গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় জনৈক রিক্সা চালক আ: জব্বার অনিমা বাড়ৈ’কে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পিএসআইকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরে অনিমার ছোট ভাই কপিল বাড়ৈ মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আসামী জাকির হোসেন একজন ইসলাম ধর্মালম্বী ব্যক্তি হয়েও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সে নিজেকে হিন্দু ধর্মালম্বী এবং তার নাম রণবীর বলে পরিচয় দিয়ে অনিমা বাড়ৈর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বর্তমানে অনিমা বাড়ৈ সুস্থ্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ফকিরসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান আরো জানান, এবার ঈদগাহে কোন জামাত হবে না। জামাত হবে মসজিদে। দেশের কোথাও কোন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুড়তে যাওয়া যাবে না। যে যেই স্থানে আছি সেখানেই ঈদ করতে হবে। মাদারীপুর জেলা পুলিশ এবিষয়ে সজাগ আছে’।
সসা/আইএম/এসএম